জীবন সংগ্রামে অপরাজিত, ব্যক্তি স্বাদ-আহ্লাদহীন উচ্চমার্গীয় অক্ষরজ্ঞানী না হলেও এক শিক্ষিত মায়ের সন্তান আমি, সাথে শিক্ষিত এক বাবা। জীবনের উত্থান-পতনের নির্মম ঢেউ এ ভেসেছে আমার বাবা। মায়ের সংগ্রামী হাতে চালানো সংসারটির কোনোমতে “Survival” বিকল্প না থাকায় শাক-শব্জী ও ডাল-ভাত সবার প্রিয় খাবারই হয়ে ওঠে… (শুটকী মাছ আমার বিশেষ প্রিয়!)
Despite all these, It is my father who is the HERO of my life. He is the real example of “SLIENCE IS GOLDEN”. I have learnt a new definition of SILENCE from him, the ESSENCE of my life.
ছাত্র/শিক্ষার্থী হিসেবে কখনই উত্তম/অধম ছিলাম না। মায়ের মুখের ‘হাট্টি মাট্টিম টিম’ থেকে প্রত্যন্ত নিবিড় গ্রামের এক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে “সেন্টু গেঞ্জি”র উপর আদর্শ লিপি, ধারাপাত, স্লেট দু’হাতে বুকে চেপে হাফ পেন্টের রাবারে এক টুকরো চকমাটি গুজে সেই খেলার সুরে শুরু, সাথে ভাল লাগা, আনন্দ… একটু পর আবেগ…. প্রত্যহ হারিকেনের চিমনি পরিস্কার করে( মাঝে মাঝে কুপি বাতি) সন্ধ্যার সাথে সাথেই পড়তে বসা। এরপর “আম পাতা জোড়া জোড়া, “তালগাছ”, “চল চল চল”, “আ’মরি বাংলা ভাষা,” “আমাদের ছেলে”, “কাজলা দিদি”, “সংকল্প”, “শিক্ষাগুরুর মর্যাদা” হয়ে “সবার আমি ছাত্র” দিয়ে প্রাইমারী শেষ।
সব সময় ক্রমিক নং ২/৩. ষষ্ঠ শ্রেণিতে “কোন স্কুলে ভর্তি হবো কি হবো না” করতে করতে মে মাসে বাড়ির কাছের স্কুলে ভর্তি হয়ে ১ম সাময়িক পরীক্ষায় গণিতে ২১ দিয়ে শুরু ৯৫ দিয়ে শেষ। নিজেদের ক্ষেতের ফসল পাহারা দেওয়ার জন্য তৈরি “ডেরা”য় বসে সপুষ্পক উদ্ভিদ মরিচ গাছের চিত্র এঁকে বিজ্ঞানের প্রতি ভালো লাগা খুঁজে পাওয়া। “রেখা” খাতায় ক্লাসের প্রতিদিনের হাতের লেখা জমা দিতে দিতে ইংরেজির প্রতি প্রেম। মাধ্যমিকে সব শ্রেণিতে প্রথম হয়ে ২০০৫’র এসএসসি তে স্কুলের সহপাঠীদের মধ্যে ভাল ফলাফল নিয়েই ভর্তি হলাম কলেজে, শেরপুর সরকারী কলেজ। কলেজে নিজেকে সাগরের “জলকণা” হিসেবে আবিষ্কার… সাথে বিদ্যুতের আলোয় প্রথম পড়তে বসা…মোহ, সংশয়, ভাল লাগায়- না লাগায়, গ্রাম ছাড়া শহরের সংস্কৃতিতে নিজেকে চিনতে না চিনতেই প্রথম বর্ষ শেষ, ২য় বর্ষে চিনতে পারলাম কিন্তু সময় পেলাম না। ফলাফল ২০০৭’র এইচএসসি তে সবার আশা ভেঙ্গে ৪.৫০।
পড়ালেখা নিয়ে জীবনে প্রথম মন খারাপ হল, কারণ ভালো করার সবই আমাকে দেওয়া হয়েছিল, আমিই পারি নি। আমি কি ভুলতে পারি আমাদের চার ভাই বোনের পড়ালেখার খরচ চালানোর জন্য আমার কৃষক বাবার স্বল্প আবাদি জমি বিক্রি করে দেওয়ার কথা… না, চাইলেও পারি না। কিছু Miscalculations, lack of proper guidance আর নিজের চিরাচরিত খামখেয়ালিপনার ফল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে CHANCE না পাওয়া। সমান জিপিএ নিয়েও আমার বন্ধুরা প্রথম বারে (কেউ কেউ দ্বিতীয় বারে) ভাল ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়।
কিন্তু আমার কোনো বারেই বোধোদয় হল না। অবশ্য ২য় বারে রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে ইংলিশে ভর্তি পরীক্ষায় মেরিট লিস্টেই ছিলাম। কিন্তু ভাইভাতে ১৫৮তম হই, ভর্তির সুযোগ পায় ১৫৬তম পর্যন্ত। ইতোমধ্যে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজে ‘ইংরেজি সাহিত্যে’ ভর্তিকৃত…শুরু হল English Literature পড়া, আর জীবনের গহীনে ঢোকা, দেখতে পেলাম নিজের ছবি, খুঁজে পেলাম ব্যর্থতার কারণ আর সফলতার টুটকা। আমার অনার্স লাইফ উল্লেখ না করাই ভালো। ১ম বর্ষ, ২য় বর্ষ যেমন তেমন ৩য় বর্ষ, ৪র্থ বর্ষ, মাস্টার্স এ একদিনও ক্লাস করি নি। (একটা সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস না করলেও কোন সমস্যা ছিলনা।) কোন এক অজানা কারণে, হয়তো নিজের সীমাবদ্ধতা নয়তো অন্যকিছু, ক্লাস করতে আমার ভাল লাগতো না। অনার্স রেজাল্ট উত্তম না হলেও উত্তম এর পরেই থাকত। বুঝতে পারলাম আমি চাইলে, আমিই হবো উত্তমদের একজন। উপলদ্ধি হল “আমি পারি এবং পারব”।
Skill + Motivation= Success যদি হয়, তাহলে বলবো আমার Skill ছিল, Motivation ছিলনা, ফলাফল Success Incomplete!! বুঝার আর বাকী রইল না এটাই জীবনের “অনেককিছু না পাওয়ার” একটা বড় কারণ। “জীবনে কী করব” এই চিন্তাটা প্রথম মাথায় আসে অনার্স ২য় বর্ষে। সব খুজেঁ খুজেঁ পেলাম আমার জন্য শুধু বিসিএস ক্যাডার জবটাই অবশিষ্ট আছে। লক্ষ্য পেলাম, স্বপ্নে রং লাগলো, Skill এর ঘষামাজা, সাথে পেলাম মনির স্যার, সেলিম স্যার, রিপন স্যার, সোহেল স্যার, আমার MOTIVATION. উনারা সবাই বিসিএস ক্যাডার। উনাদের নিয়ে লেখার মতো শব্দ এবং সাহস কোনটাই আমার নেই।
শুধু এইটুকু বলতে পারি, “মানুষ হওয়া”র নতুন সংজ্ঞা পাই উনাদের সহচর্যেই। উনাদের সংস্পর্শ আমাকে বুঝালো ‘আনন্দ মোহন কলেজ’ আমার জন্য আর্শিবাদ, সাথে ঘুচে গেল পাবলিক ভার্সিটিতে না পড়তে পারার আক্ষেপ। উনাদের এক একটি কথা আমার কাছে ইউনিভার্সিটির এক একটি FACULTY. মনির স্যারের কাছে শিখলাম পরিশ্রমের নতুন সংজ্ঞা। তিনি হচ্ছেন এমন একজন যাঁর passion & love expressed through hard words , helps set goals, never uses his own hands directly to reach those goals for others, but always STAND BY. তিনি আমাকে বুঝালেন- তুমি যে আনন্দ মোহনের
বার বার ফেল করেও বিসিএস এ প্রথম
স্টুডেন্ট, সেই বাঁধা তোমাকে উৎড়াতে হবে। আমি শুরু করলাম—। সেলিম স্যার শিখালেন- Positiveness of life with perfection. রিপন স্যারের কাছে শিখলাম – Simplicity is the best sophistication আর “মানুষ চাওয়ার মতো চাইলে সব পায়।” সোহেল স্যার দেখালো – Strategy both of positive & negative to get
something you want. শুরু হলো চাকুরির পড়াশোনা। স্যারদের সাজেশন্স, বড় ভাইদের কাছে বই (পরে অবশ্য নিজেই বই কিনেছি ), আর সকাল বিকাল tuition করা। ( নিজের survival নিজে করতে হতো ২০০৯ সালে থেকে)।
চলতে থাকলো ছাত্র জীবন, সাথে স্বপ্ন To be a BCS cadre. ২য় বর্ষে ৬-৭মাস জবের পড়াশোনা করার পর বাদ দিলাম। ৩য় বর্ষে অত্যধিক টিউশনির কারণে বিসিএস নিয়ে পড়াশোনা করতে পারি নি। ৪র্থ বর্ষে আবার শুরু। তবে
-
Motivation POST
-
Dutch Bangla Bank SSC Scholarship 2019[Apply Now]
-
Good News For Unemployed-Prime Minister
-
Upozila Health department Job Circular 2019
-
Family Planning association of Bangladesh FPAB Job Circular 2019
-
Prime Minister Office Job Circular 2019 Apply Process – www.pmo.gov.bd
-
Squre Group New Jobs circular 2019
-
Bangladesh Petroleum Corporation (BPC) Job Circular 2019
-
RAJUK Jobs Circular & Exam Result 2019 – rajukdhaka.gov.bd
-
Polytechnic Admission Circular 2019- Diploma in Engineering Admission
প্রিলি পড়তে ভালো লাগতো না, শুরু করলাম রিটেনের পড়া। এক স্যারের পরামর্শে ভর্তি হলাম সাইফুর’স-এর ৩৪তম রিটেন কোচিং-এ। (যদিও আমি তখনও প্রিলি দেইনি, আমি ৩৫তম বিসিএস-এর প্রার্থী ছিলাম।) কিন্তু কিছুদিন পরেই ৪র্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ায় কোচিং-এর ক্লাস, পরীক্ষা বাদ দিতে হলো। ৪র্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পুরোদমে বিসিএস নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলাম। কিছুদিন পরে IBA_JU-এর MBA-এর ভর্তির circular হলো। কিছু English এবং Math বই নিজে নিজে Solution এর বদৌলতে চান্সও পেলাম, ভর্তিও হলাম। মাস্টার্স এবং MBA এর দুটি ভিন্ন সেশন আমাকে সাহায্য করল। NU এর “সেশন জট” আমাকে একটি বর দিলো!!! MBA-এর পাশাপাশি ৩৫তম প্রিলি, লিখিত, ব্যাংকসহ বেশ কিছু জবেও ভাইভা দিলাম। অনার্স শেষ করে সব মিলিয়ে বিসিএস সহ মোট ৭টি সরকারি চাকুরির ভাইভা দিয়েছিলাম। পূবালী ব্যাংক জব হয়েছিল কিন্তু যোগদান করিনি। আলহামদুলিল্লাহ অবশেষে ৩৫তম বিসিএস-এ বিসিএস প্রশাসনে (৬৬তম)
সুপারিশ প্রাপ্ত হই। এর মধ্যে মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষাও দিলাম, MBAও প্রায় শেষ। টিউশন করছি, জীবন চলছে তার আপন গতিতে….।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
আমি অনার্স ২য় বর্ষ পর্যন্ত Dreamless + Aimless ছিলাম। ছোটবেলা আকাশে বিমান উড়তে দেখে পাইলট হওয়ার ইচ্ছা, বিটিভিতে সেনাবাহিনীর Adventure দেখে Army হওয়ার ইচ্ছা, কখনোবা পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন… (হা হা হা) আসলে Fixed ছিল না কিছুই । কিন্তু যখন AIM পেলাম, FOCUSED করলাম। আর কখনও পিছনে ফিরে তাকাইনি। When I got, who I am What I can & can’t, what is my SWOT ( Strength , Weakness, Opportunity & Threat) I just started to march on with full confidence. আমি কখনই খুব ভালো পড়ুয়া ছিলাম না, এখনও নই। তবে যা পড়েছি, এমনভাবে পড়েছি মনে হয়েছে মানুষ হিসেবে এটি আমার জানার প্রয়োজন। জবের পড়ায় “এটা পড়ব না, ওটা পড়ব” এমন চিন্তা না করে সব পড়ার চেষ্টা করেছি এবং সেটা জানার তৃপ্তি নিয়ে।
Study strategy, Exam strategy এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এসবের জন্য আপনার আশেপাশের যে কারোর কাছ থেকে খুব সহজেই HELP পেতে পারেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে, পড়াশোনা আপনাকেই করতে হবে। একজন যোগ্য প্রার্থী নিজেই পরীক্ষার হলে বসে নির্ণয় করতে পারে কাট মার্কস কত হবে, অন্যের বক্তব্য অনুসরণ করে নয়। মনে রাখবেন, অন্যের observation আপনার সাথে নাও মিলতে পারে। আপনার situationআর অন্যের situation এক না। যোগ্যরা সবসময় নিজের পরিস্থিতি অনুসারে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, নিতে হয় । নিজেকে চিনুন এবং লক্ষ্য স্থির রেখে পরিশ্রম করুন, সফলতা আসবেই ইনশাল্লাহ।
জরুরি কয়েকটি কথা
♦ আপনি যদি মেসে থাকেন, তাহলে মেসের প্রতিকূল পরিবেশে survive করা একটু বেশিই কষ্টের। কিন্তু সফল হতে হলে এটাকেই আপনাকে জয় করতে হবে। so, be laborous.
♦ মেসে ‘খালামনি’ না আসাটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এই ‘খালামনি’ না আসার ব্যাপারটাকে পড়াশোনা. ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ রাখার ‘শিল্প’ বানাবেন না।
♦ ঈদ, পূঁজা, পার্বণে বা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বেশি বেশি বাড়িতে সময় কাটানোর “অণুঘটক” বানানো সমীচীন নয়।
♦ বন্ধু, বান্ধবী, দোস্ত (আরও কি যেন ১টা শব্দ!!) আজকাল একটু বেশিই থাকে। So, Be cautious.
♦ END, NO, FAIL শব্দগুলো সবার জীবনেই negative । তাই শব্দগুলো একটু এভাবে ভাবতে পারেন,
END = Efforts Never Die,
NO= Next Opportunity
FAIL= First Attempt In Learning ।
Request: Please be a man first, not a BCS cadre.
WIN YOU GOOD LUCK.
লেখক পরিচিতি
Kawsar Ahmed
Honor’s & MA in English
Ananda Mohan College, Mymensingh.
MBA(running), IBA_JU
BCS Administration recommended (36th)
35th BC
Consider linking to these articles:
Bangladesh Police Job Circular 2019
Health Jobs circular 2019-dghsp.teletalk.com.bd
Bangladesh Rural Electrification Board job circular 2019-www.reb.gov.bd
XI Class admission 2019 Circular| BD Top Colleges
Polytechnic Admission Circular 2019- Diploma in Engineering Admission
Upozila Health department Job Circular 2019
Weekly Jobs Newspaper Full PDF Download
Squre Group New Jobs circular 2019
Prime Minister Office Job Circular 2019 Apply Process – www.pmo.gov.bd